অনলাইন ডেস্কঃ পটিয়ার সেই কেন্দ্রে আজও সহিংসতা হয়েছে। এতে আহত হয়েছেন সিদ্দিক আহমদ (ফারুক) নামের এক ব্যক্তি। এর আগে গত ২৯ মে তৃতীয় ধাপে চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সেদিন সকাল সাড়ে ৯টায় উপজেলার কাশিয়াইশ ইউনিয়নের পূর্ব পিঙ্গলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে প্রবেশ করেন দুই শতাধিক বহিরাগত। তারা ব্যালট বাক্স, ব্যালট পেপার, সিল, কালিসহ ভোটের সরঞ্জাম নিয়ে চলে যান। এ কারণে ওইদিন এ কেন্দ্রের ভোট স্থগিত করে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
স্থগিত হওয়া পূর্ব পিঙ্গলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে পুনরায় ভোটগ্রহণ চলাকালে আজ বুধবার সকাল ১০টায় সড়ক অবরোধ করা হয়েছে। পাশাপাশি ভোট দিয়ে বের হওয়ার পর এক ভোটারের মাথা ফাটিয়ে দিয়েছেন প্রতিপক্ষের লোকজন।
আহত ব্যক্তির নাম সিদ্দিক আহমদ ওরফে ফারুক। তাঁকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। আহত ব্যক্তি জানান, ভোট দিয়ে বের হওয়ার সময় কেন্দ্রের মুখে তাঁকে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী আবু সালেহ মো. শাহরিয়ারের লোকজন তাঁকে মারধর করেন। সিদ্দিকের বাড়ি পিঙ্গলা ১ নম্বর ওয়ার্ডে।
আরও পড়ুন পটিয়ায় চেয়ারম্যান হলেন দিদারুল আলম
এ বিষয়ে পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জসীম উদ্দিন বলেন, মনে হয় দুই প্রার্থীর লোকজনের মধ্যে মারামারি হয়েছে। এদিকে, সকাল ১০টার দিকে ভোট কেন্দ্রের অদূরে পিঙ্গলার টেক এলাকায় একজন ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীর অনুসারীরা গাছ ফেলে সড়ক অবরোধ করেন।
তাদের বুকেও ছিল উড়োজাহাজ প্রতীকের ব্যাজ। এ সময় তারা ভোটার এবং সাধারণ লোকজনকে ভোটকেন্দ্রে যেতে বাধা দেন। এর আগে তারা পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ান। পুলিশ ধাওয়া দিলে শুরুতে সড়ক অবরোধকারীরা সরে গেলেও পরে তাঁরা ফিরে এসে বড় বড় গাছ ফেলে সড়ক অবরোধ করেন। এ সময় ছবি তোলার চেষ্টা করলে সাংবাদিকদের হুমকি দেয় সড়ক অবরোধকারীরা।
ঘটনার বিষয়ে পটিয়া থানার ওসি জসীম উদ্দিন বলেন, ‘ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। সড়ক অবরোধ সরানো হয়েছে। এখন কোনো বাধা নেই। কেন্দ্রে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট হচ্ছে।’
আজ সকালে এই কেন্দ্রে শত শত মানুষ লাইনে দাঁড়ান ভোট দেওয়ার জন্য। সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত মানুষ স্বাভাবিকভাবে ভোট দিচ্ছিলেন৷ ১০টি বুথের সামনেই ভোটারের লাইন ছিল। সড়ক অবরোধের পর কেন্দ্রে ভোটার কমে যায়। পরে ১১টার মধ্যে পুরো কেন্দ্র খালি হয়ে যায়।
তথ্যসূত্র: প্রথম আলো
Leave a Reply